যেভাবে বেক্সিমকো সহ বাংলাদেশের অন্যান্য কোম্পানিগুলো সমাজের জন্য কাজ করছে

বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলোর মাধ্যমেই, যার মধ্যে বেক্সিমকো এবং এসিআই অন্যতম, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের চাকা ঘুরছে। আগামী ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সামনে একটি ‘অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস’ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেশীয় কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে আয় করে, পণ্যের উন্নতি সাধন করে, চাকরির সুযোগ তৈরি করে, রপ্তানি বাড়িয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে।

অটোমোবাইল থেকে শুরু করে ফার্র্মাসিউটিক্যালস, গার্মেন্টস সেক্টর ও পেশাদার কর্মীরা উৎপাদনের চাকা সচল রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ, স্থানীয় কোম্পানিগুলোর আয়ই হচ্ছে রাষ্ট্রের আয়। এ ছাড়া স্থানীয় কোম্পানিগুলো একটি কর্পোরেট কালচার তৈরি করছে। বেক্সিমকো এ ক্ষেত্রে বেশ অবদান রেখেছে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এই কর্পোরেট কালচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ কর্পোরেট কালচার ব্যবহারে কর্মীরা আরো দক্ষ হয়, তাদের কাজের মধ্যে একটা ছন্দ থাকে। ফলশ্রুতিতে কোম্পানিগুলোর সফলতা আসে।

বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানীয় কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল- বেক্সিমকো,এসিআই, ট্রান্সকম, , নাভানা, স্কয়ার, অরিয়ন গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিটি কোম্পানি তাদের পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি অবদান রাখছে দেশ ও মানুষের কল্যাণে।

এসিআই কোম্পানি সার, গোখাদ্য, মৎস, ফার্মাসিউটিক্যালস, ভোগ্য পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করেছে। বেক্সিমকো গ্রুপ রপ্তানিযোগ্য পণ্য, টেক্সাটাইল, গার্মেন্টস পণ্য, সিরামিক ও ফার্মাসিউটিক্যালস এর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্কয়ার কোম্পানি টয়লেট্রিজ, নিট ফ্যাব্রিকস, স্পিনিং ও রাষ্ট্রয়াত্ত হাসপাতালে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। নাভানা গ্রুপ রিয়েল স্টেট, নির্মাণ কাজ ও অটোমোবাইল তৈরি করছে। বাংলাদেশে এরাই টয়োটা গাড়ী ও হিনো মোটরের একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর।

এই সফল কোম্পানিগুলোর কারণে দেশের বেকারত্বের হার ৩৫ শতাংশ (১৯৯৬ সালে ছিল) থেকে ১২ শতাংশে (২০১৩ সালে) নেমে এসেছে। এই কোম্পানিগুলো অনেক কর্পোরেট ক্যারিয়ারে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া বালাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের আয়ের একটা অংশ সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) ক্ষেত্রে খরচ করে থাকে। যা সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সামাজিক দায়বন্ধতা (সিএসআর) একটি চলমান প্রতিশ্রুতি, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে, কর্মীদের জীবনযাত্রা ও তাদের পরিবারের মান বাড়াতে এবং স্থানীয় উন্নয়নে সাহায্য করে থাকে।

রাষ্ট্র ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে পারষ্পারিক সুসম্পর্কের ফলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো বিদেশেও তাদের পণ্য রপ্তানি করছে। ইতিমধ্যে বিদেশে তাদের পণ্যগুলো বেশ সুনামও অর্জন করেছে। বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যগুলো আমেরিকা, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান ও ভারতে রপ্তানি করে থাকে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করা হয়।

স্থানীয় কোম্পানির এসব অবদানের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, সমাজ ও বাংলাদেশের অর্থনীতি অদূর ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে। একবাক্যে বলতে গেলে বলতে হয়- বেক্সিমকো সহ স্থানীয় কোম্পানিগুলো দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

Comments

Popular Posts