প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে- সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ  নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সেই লক্ষ্য অর্জনে উবারের মতো আরও ব্র্যান্ড আমাদের উন্নয়নের অংশীদার হবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উবারের প্রতিবেদন প্রকাশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) সিনিয়র সচিব এ এম জিয়াউল আলম, উবারের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন্সের সিনিয়র ডিরেক্টর মাইক অরগিল, উবার ইন্ডিয়া দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল অপারেশন ডিরেক্টর শৈলেন্দ্রন শিবা।  সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাতে সক্ষমতা বেড়েছে। তাই উবারের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে ব্যক্তিগত ভাড়ায় চালিত ট্যাক্সি ক্যাবের অভাব ছিল, সেটা উবার পূরণ করেছে। চলাচলের পথ সহজ করে উবার প্রাইভেট সেক্টরের মানুষের ভোগান্তি কমিয়েছে। দেশে ব্যবসা শুরুর পর থেকে গ্রোথ ভালো হয়েছে উবারের।

এখন অন্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসছে এই সেবায়।  রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবার বাংলাদেশের পরিবহন সেক্টরে বিপ্লব ঘটিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের অভিযাত্রায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের পর প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, সেই লক্ষ্য অর্জনে উবারের মতো আরও ব্র্যান্ড আমাদের উন্নয়নের অংশীদার হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এ এম জিয়াউল আলম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে আইসিটি বিভাগ। ২০২১ সালে আইসিটি বিভাগ ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করেছে। ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ আয়ের টার্গেট রাখা হয়েছে। আশা করি এ টার্গেট পূরণ করতে সক্ষম হবো।

 বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও কৌশলগত পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান পাবলিক ফার্স্ট সংকলিত বাংলাদেশে উবারের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে উবার কীভাবে বাংলাদেশের অন-ডিমান্ড অর্থনীতি, ২০২১ সালে বাংলাদেশের জন্য কোম্পানির অর্থনৈতিক অবদান, নিরাপত্তা, বিশ্বাসযোগ্যতা, সুবিধা, ভোক্তা উদ্বৃত্ত ইত্যাদি পরিবর্তন করেছে তার একচেটিয়া তথ্যভিত্তিক পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার অবদান রেখেছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার। এ ছাড়া উবারের রাইড শেয়ারে ভোক্তাদের কাছ থেকে গত বছর ৭ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। একইসঙ্গে বছরে আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লাখ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হয়েছে উবার যাত্রীদের। প্রতিবেদনে বলা হয়, উবারে চড়েন এমন নারী যাত্রীদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তার কারণে উবারে চড়েন। জরিপের ৯০ শতাংশ যাত্রী যাতায়াতের সুবিধার কারণে উবার ব্যবহার করেন। উবারের রাইড শেয়ারে ভোক্তাদের কাছ থেকে গত বছর ৭ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে, যা মোটামুটিভাবে দেশের জিডিপির ০.২৫ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। উবার চালকদের ৭৩ শতাংশ চালক বলেছেন, ২০২১ সালে তারা উবার নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। যার মাধ্যমে গত বছর সব উবার চালকরা অতিরিক্ত ৫২.২ কোটি টাকা আয় করেছেন, যা তাদের সম্ভাব্য পরবর্তী সেরা বিকল্প আয় বা কাজের উৎসের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি ধরা হয়েছে।


Comments

Popular Posts