দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে
দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এবং টেকসই রাখতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে, মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার মতে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও দেশের রিজার্ভ ও বাজেট সীমাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীত্ব (পিপিপি) ছাড়া আমাদের উপায় নেই এবং প্রয়োজনে আইনে পরিবর্তন করা উচিত।
সালমান এফ রহমান জানান - আজকে আমাদের যে পাওয়ার জেনারেশন ক্যাপাসিটি আছে, তার ৫৪ শতাংশ বেসরকারি খাতের। বেসরকারি খাতকে আনতে চাইলে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে যেভাবে কাজ হয়েছে, আমি মনে করি, পিপিপি অথরিটিতেও এভাবে কাজ করার সুযোগ আছে।
দুটো সমস্যার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, পিপিপি অথরিটির কাজ হলো প্রজেক্ট খোঁজা। প্রস্তাব আসার পর পিপিপি’র কাজ হলো সে অনুযায়ী কাজ করা। বিশেষ করে যতগুলো পিপিপি আসছে, যারা প্রস্তাব দিচ্ছে, তারা বলছে আমি যদি পাই এটা আমি করবো। যখন তারা কাজ পায়, তখন তারা ফাইন্যান্সিং খুঁজে বেড়াচ্ছে, ইনভেস্টর খুঁজে বেড়াচ্ছে। এটা একটা সমস্যা। তিনি বলেন, পিপিপি ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। পিপিপি প্রোজেক্টগুলোতে আমরা জোর দিচ্ছি। বর্তমানে এ রকম ৭৬টি প্রজেক্ট হাতে রয়েছে। এর মধ্যে ১টির কাজ শেষ হয়েছে। জাপানের সঙ্গে ৩ থেকে ৪টির কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কোরিয়ার সঙ্গেও ৩ থেকে ৪টি প্রজেক্টের কাজ চলছে। কাজগুলো শেষ হলে আমরা এর সুফল পাবো। বাস্তবিক অর্থেই পিপিপি’র অনেক সুযোগ আছে। এখন যখন আমাদের রিজার্ভ কমে আসছে, যে ইকোনমিক কন্ডিশন গ্লোবালি এ অবস্থায় আমাদের পিপিপি’র প্রজেক্টের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে টেকনোলজি। কাগজে-কলমে দেখা যায় তাদের সক্ষমতা আছে। কনট্রাক্ট দিয়ে দেয়ার পর দেখা যায়, তাদের সক্ষমতা নেই। এ ক্ষেত্রে ঋণ খেলাপিকে বড় সমস্যা হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে সমাধান আছে। কেউ যদি খেলাপি করে, তাকে একটা এক্সিট দিতে হবে। কোম্পানিকে টেকওভার করে রি-স্ট্রাকচার করেন। যে শাস্তি পাবে, তাকে শাস্তি দেন। কিন্তু কোম্পানিটাকে রি-স্ট্রাকচার্ড করতে হবে। তিনি বলেন, খেলাপি দুই ধরনের। এক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়। আরেকটা হলো আসলেই সে খেলাপি। এ জন্য আমরা ব্যাংকিং আইন পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমরা পিপিপি অথরিটির সঙ্গে বসবো। দেখি এই আইনে সবকিছু করা যায় কিনা। না হলে এই আইনও সংশোধন করবো।
Comments
Post a Comment