সরলচিত্ত মানসিকতাই সফলতার চাবিকাঠি
কিছু সাধারণ ব্যাপার আছে যা আপনাকে সাহায্য করবে
আপনার ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা দিতে,অর্থ উপার্জন সহ যে কাজটি আপনি করবেন সেটিতে সফলতা
এনে দিতে। এটি দুর্বোধ্য কিছু নয়; খুবই সাদামাটা। এগুলো মানলেই আপনি হয়ে যেতে পারবেন একজন সফল ব্যবসায়ী।
প্রত্যেকটি ব্যাপার হতে হবে সাধারণ এবং ব্যবসা সহায়ক।
পৃথিবীর সকল বড় বড় কোম্পানিগুলো সহজ ও বোধগম্য ব্যবসায়িক নীতির মাধ্যমে তাদের নতুন
নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। আর এই বিজয়ী হওয়ার মূলমন্ত্র হল “বোধগম্যতা ও তার
পুনরাবৃত্তি”। যা বড় বড় কোম্পানির বিনিয়োগের প্রসার ঘটিয়েছে।
১৯৯০ সালের দিকে ড্যানিশ খেলনা কোম্পানি ‘লেগো’ অতিদ্রুত বিভিন্ন পার্ক, টেলিভিশন, শপিং
মলে ছড়িয়ে পরেছিলো । এই প্লাস্টিকের ইটই তাদেরকে সফলতা এনে দিয়েছিলো। কোম্পানির
বয়স যত বাড়ে তা স্বাভাবিক ভাবেই জটিলতার সৃষ্টি করতে থাকে। যা নীরব ঘাতক হিসাবে
কাজ করে। আর এই ক্ষেত্রে সঠিক মন্ত্র হল “বোধগম্যতা ও তার পুনরাবৃত্তি”।
এ ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা যেতে
পারেঃ
১। যখন ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে দাড়ায়,
তখন স্বাভাবিক ভাবেই আধুনিক প্রযুক্তির খোঁজ করবেন। সব থেকে ভালো নেতৃত্ব বাছাই
করে আরও সহজ ভাবে ব্যবসা শুরু করবেন। তবে পূর্ববর্তী সময়ের নথিপত্র আপনাকে সব থেকে
বেশি সাহায্য করবে। কিছু মূল বিষয় সঠিকভাবে ঝালিয়ে নিয়ে তা নিয়মিত ক্রেতাদের
আকর্ষণ করবে। যা ব্যবসায়ে সফলতা আনতে সক্ষম।
আপনি যদি কোম্পানির দাপ্তরিক কাজে থাকেন তাহলে
আপনাকে কোম্পানির বিভিন্ন শাখাগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। এগুলো আপনাকে দক্ষ হতে
সাহায্য করবে।
২। বিক্রয় বিশেষজ্ঞ হলে আপনাকে অনেক অর্থ ও সময়
ব্যয় করতে হবে নতুন কিছুর খোঁজে। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রত্যেকদিনই নতুন কোন
বিক্ষিপ্ততার সম্মুখীন হতে হবে। নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে, নতুন সামাজিক
গোষ্ঠীকে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। যার তালিকা আসলেই অনেক দীর্ঘ। এখান থেকে
আপনি যা শিখতে পারেন তা হল প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সম্পর্কে জানা ও ব্যবসা মালিকদের
সেগুলো জানানো। ব্যবসায় আপনি সফল হবেনই।
শুধু আপনার কোম্পানি যা করছে সেটাই সর্বোৎকৃষ্ট
এবং তা থেকেই সর্বোচ্চ উপার্জন সম্ভব এটা একটা ভুল ধারণা। আপনাকে বিভিন্ন
ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক গোষ্ঠী, যেমন LinkedIn এর ব্যবহার সহ
হিসাব নিকাশের ব্যাপারটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কোম্পানির আসল সক্ষমতা নির্ণয় করে তা ব্যবসা
মালিক ও বিক্রয়কারী দল মিলে পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন সহ অধিকাংশ মানুষকে
সাহায্য করতে পারেন।
সর্বোপরি আপনাকে আপনার কোম্পানির আসল সক্ষমতাটা
নির্ণয় করতে হবে। আপনি বিক্রয়কর্মী হলে বিক্রয়ের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মনোনিবেশ
করতে হবে। ব্যবসায়ের মালিক হলে আপনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে মানুষের
সাহায্যের ব্যাপারটা। এই বিষয়গুলো পুনবিন্যাসের মাধ্যমে বাজারে শেয়ার সৃষ্টি করে
আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারেন।
Comments
Post a Comment