সঙ্কটাবস্থায় পণ্য উৎপাদনকারীদের জন্য পাঁচটি কথা

উৎপাদনকারীদেরকে সবসময় বিভিন্ন ধরনের শর্ত পালন করতে হয় যা সম্পদও হতে পারে আবার দ্বায়বদ্ধতাও হতে পারে। অতিরিক্ত শর্ত ভালো কিছুকে খারাপে পরিণত করতে পারে। এটি কোম্পানির কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে যা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্ষতি সাধন করে।

একটা শিল্প কারখানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সঠিক সময়ে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া। ক্রেতাদের কাছে অগ্রাধিকার হল তা হাতে পাওয়া। তারা দ্রুততা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ মূল্য দিয়ে কাজ করাতে চায়।

১। একটা কার্যপদ্ধতি তৈরি করুন-
ক্রেতাদের দেয়া বিভিন্ন শর্তগুলো পালনের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো নির্ণয় করতে হবে। সাধারনত কেউ যদি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় সে ব্যাপারটাকে আমলে না নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে (incomplete sentence)। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার থেকে ব্যাপারটাকে সহজ পদ্ধতিতে সমাধান করতে হবে। যখন পণ্যের বিভিন্ন বিষয়ের উপর শর্ত আসবে তখন আপনার পরিকল্পনা ঠিক করুন।

২। সক্ষম সফটওয়্যার ব্যবহার করুন-
যখন পণ্যের মূল্য নির্ণায়ক অনেক শর্তের সম্মুখীন হন তখন সফটওয়্যার সাহায্য করে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে। মূল্য নির্ণায়কদেরকে পূর্ণ তথ্য দেয়া উচিৎ যা তাদেরকে সার্বিক ব্যয় নির্ণয়ে সাহায্য করবে।



৩। কাজ ভাগ করে দিন-
প্রত্যেক কোম্পানির সকল বিভাগগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিৎ। এটি আপনাকে সাহায্য করবে নতুন কোন কাজ পেতে ও খরিদ্দার ধরে রাখতে।

৪। সফটওয়্যারের ব্যবহার বর্ধিত করুন-
কিছু সফটওয়্যার আছে যা আপানার কোম্পানির উৎপাদন মান বাড়িয়ে দিবে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়্যারে অনেক ফিচার থাকে যা কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অবশ্যই ব্যাপারটাকে নজরদারিতে রাখতে হবে।

৫। ফলাফল মূল্যায়ন ও প্রতিক্রিয়া-
সাধারনত কোম্পানিগুলোর একটা বড় ভুল হল তারা পণ্য বিক্রয় ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে না। মূল্য নির্ণয় এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ যার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে। এ ব্যাপারটি খরিদ্দার আকর্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যয় ব্যাপারটা একটু ঝামেলা পূর্ণ ও স্পর্শকাতর। শুধু বেঁধে দেয়া শর্তের দিকে তাকালে হবে না। ব্যয় এর দিকে নজর রাখতে হবে। পুরো ব্যাপারটাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করলে তা কোম্পানির ব্যয়কে আরও সহনীয় করতে সাহায্য করে।



Comments

Popular Posts