বাংলাদেশের রেলপথ এবং এর সমস্যাসমূহ
বাংলাদেশের রেলপথ এদেশের সরকার কর্তৃক চালিত একটি প্রতিষ্ঠান, যা বর্তমানে একটি অসফল কার্যক্রমের প্রতীকী হিসেবে পরিণত হয়েছে!
বাংলাদেশের রেলপথ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যান বর্তমান অবস্থার ছবি তুলে ধরবে যা সাধারন মানুষকে অনেকটাই অবাক করে দিবে। বিগত সাড়ে তিন দশকের বিভিন্ন জিনিশ, যেমন- রেল-লাইন, রেলের কামরা, যাত্রী সংখ্যা, মাল-পত্রের পরিমাণ ইত্যাদি এসবের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে, যেকোনো মানুষই প্রশ্ন করবে এবং জানতে চাবে যে কিভাবে একটি জাতীয় সত্তা একটি খাতে তাদের এক-চেটিয়া আধিপত্য বিরাজ করছে এবং বাংলাদেশের রেলপথ কার্যক্রম এতো খারাপ ভাবে পরিচালনা করছে?
১৯৮১ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ রেলপথ প্রায় ৯ কোটিরও বেশি যাত্রী বহন করেছে। ২০১৫ থেকে ২১০৬ সালে এই যাত্রীর সংখ্যা নেমে দাড়িয়েছে প্রায় ৭ কোটি ১ লাখে। কার্যক্রম যত খারাপই হক না কেন, উন্নতির নামে এই খাতে বড় অংকের টাকার বিনিয়োগ দিন দিন বেড়েই চলছে। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রায় ৪০টির মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে যার অর্থব্যয় প্রায় ছয় হাজার আটশ তেত্রিশ কোটি টাকা। এছাড়াও আরও ৪১ টির মতো বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এখন পর্যন্ত নয় হাজার একশ চোদ্দ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু, লোক দেখানো উন্নতির গল্প এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশ সরকার রেলপথের জন্য একটি ২০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা হবে ৪ টি পর্যায়ক্রমিক ধাপে এবং তাতে অর্থমূল্য ব্যয় হবে প্রায় ২৩৩৯.৪৪ বিলিয়ন টাকা।
অর্থনীতি বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য লেখাঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে
যানজট, সময়ের অপচয় এবং অন্যান্য নানা সমস্যার কারনে জনসাধারণের কাছে রেলপথই বেশি সুবিধাজনক বলে মনে হয়। এছাড়াও নির্ভরযোগ্য এবং সুলভ হওয়ায় মানুষের রেলপথকেই বেশি প্রাধান্য দেয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে সেরকমটা আসলে হচ্ছে না। আর এর কারন হল রেলগাড়ি গুলোতে সাধারন জনগণ পর্যাপ্ত বসা বা এমনকি দাড়িয়ে থাকার জায়গাটাও পাচ্চছে না এবং এর ফলে যাতায়াত করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। একইভাবে ঢাকা এবং চট্রগ্রামের মধ্যে বিভিন্ন পণ্য বা জিনিসপত্রের আদান প্রদানের জন্য রেলপথই সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক হলেও, ঢাকা ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি)- এর কিছু ঝামেলার কারনে এই পথে ব্যবসা বাণিজ্য খুব বেশি একটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে না। যদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে যে বিভিন্ন পণ্য বা জিনিসপত্রের আদান প্রদানের সহজে করা যায় তাহলে বেক্সিমকো গ্রুপ সহ দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো রেলপথই বেছে নেবে। তাতে লাভ হবে প্রতিষ্ঠানগুলোর, সরকারের এবং দেশের অর্থনীতির।
দেশের জনগনের উন্নতির স্বার্থে ‘বাংলাদেশ রেলপথ’ এদেশের পরিবহন খাতে আধিপত্য বিরাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখন পর্যন্ত তারা তাদের মূল্য এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু, উন্নতির প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তাদের আরও কিছু কাজ করতে হবে। এগুলো হল তাদের ব্যবস্থাপনা এবং কর্ম-রীতিতে বেশ বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, যা ভালো কোনও ফলাফল আনতে সাহায্য করবে। কারন পুরাতন ব্যবস্থাপনা এবং কার্যক্রম কখনই ‘বাংলাদেশ রেলপথ’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারবে না। আর যখন তা নিশ্চিত হবে, তখনই জনসাধারণ ও বেক্সিমকো গ্রুপের মতন প্রতিষ্ঠানগুলো আস্থা ফিরে পাবে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’ এর উপর।
আরও পড়ুনঃ
১। যেভাবে বেক্সিমকো সহ বাংলাদেশের অন্যান্য কোম্পানিগুলো সমাজের জন্য কাজ করছে
২। বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ গ্রুপের মত প্রাইভেট কোম্পানীগুলো কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করছে?
বাংলাদেশের রেলপথ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যান বর্তমান অবস্থার ছবি তুলে ধরবে যা সাধারন মানুষকে অনেকটাই অবাক করে দিবে। বিগত সাড়ে তিন দশকের বিভিন্ন জিনিশ, যেমন- রেল-লাইন, রেলের কামরা, যাত্রী সংখ্যা, মাল-পত্রের পরিমাণ ইত্যাদি এসবের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে, যেকোনো মানুষই প্রশ্ন করবে এবং জানতে চাবে যে কিভাবে একটি জাতীয় সত্তা একটি খাতে তাদের এক-চেটিয়া আধিপত্য বিরাজ করছে এবং বাংলাদেশের রেলপথ কার্যক্রম এতো খারাপ ভাবে পরিচালনা করছে?
১৯৮১ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ রেলপথ প্রায় ৯ কোটিরও বেশি যাত্রী বহন করেছে। ২০১৫ থেকে ২১০৬ সালে এই যাত্রীর সংখ্যা নেমে দাড়িয়েছে প্রায় ৭ কোটি ১ লাখে। কার্যক্রম যত খারাপই হক না কেন, উন্নতির নামে এই খাতে বড় অংকের টাকার বিনিয়োগ দিন দিন বেড়েই চলছে। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রায় ৪০টির মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে যার অর্থব্যয় প্রায় ছয় হাজার আটশ তেত্রিশ কোটি টাকা। এছাড়াও আরও ৪১ টির মতো বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এখন পর্যন্ত নয় হাজার একশ চোদ্দ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু, লোক দেখানো উন্নতির গল্প এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশ সরকার রেলপথের জন্য একটি ২০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা হবে ৪ টি পর্যায়ক্রমিক ধাপে এবং তাতে অর্থমূল্য ব্যয় হবে প্রায় ২৩৩৯.৪৪ বিলিয়ন টাকা।
অর্থনীতি বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য লেখাঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে
যানজট, সময়ের অপচয় এবং অন্যান্য নানা সমস্যার কারনে জনসাধারণের কাছে রেলপথই বেশি সুবিধাজনক বলে মনে হয়। এছাড়াও নির্ভরযোগ্য এবং সুলভ হওয়ায় মানুষের রেলপথকেই বেশি প্রাধান্য দেয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে সেরকমটা আসলে হচ্ছে না। আর এর কারন হল রেলগাড়ি গুলোতে সাধারন জনগণ পর্যাপ্ত বসা বা এমনকি দাড়িয়ে থাকার জায়গাটাও পাচ্চছে না এবং এর ফলে যাতায়াত করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। একইভাবে ঢাকা এবং চট্রগ্রামের মধ্যে বিভিন্ন পণ্য বা জিনিসপত্রের আদান প্রদানের জন্য রেলপথই সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক হলেও, ঢাকা ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি)- এর কিছু ঝামেলার কারনে এই পথে ব্যবসা বাণিজ্য খুব বেশি একটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে না। যদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে যে বিভিন্ন পণ্য বা জিনিসপত্রের আদান প্রদানের সহজে করা যায় তাহলে বেক্সিমকো গ্রুপ সহ দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো রেলপথই বেছে নেবে। তাতে লাভ হবে প্রতিষ্ঠানগুলোর, সরকারের এবং দেশের অর্থনীতির।
দেশের জনগনের উন্নতির স্বার্থে ‘বাংলাদেশ রেলপথ’ এদেশের পরিবহন খাতে আধিপত্য বিরাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখন পর্যন্ত তারা তাদের মূল্য এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু, উন্নতির প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তাদের আরও কিছু কাজ করতে হবে। এগুলো হল তাদের ব্যবস্থাপনা এবং কর্ম-রীতিতে বেশ বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, যা ভালো কোনও ফলাফল আনতে সাহায্য করবে। কারন পুরাতন ব্যবস্থাপনা এবং কার্যক্রম কখনই ‘বাংলাদেশ রেলপথ’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারবে না। আর যখন তা নিশ্চিত হবে, তখনই জনসাধারণ ও বেক্সিমকো গ্রুপের মতন প্রতিষ্ঠানগুলো আস্থা ফিরে পাবে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’ এর উপর।
আরও পড়ুনঃ
১। যেভাবে বেক্সিমকো সহ বাংলাদেশের অন্যান্য কোম্পানিগুলো সমাজের জন্য কাজ করছে
২। বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ গ্রুপের মত প্রাইভেট কোম্পানীগুলো কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করছে?
Comments
Post a Comment