উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে - সালমান এফ রহমান

দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে - জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি জানিয়েছেন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষক বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। নতুন এই উদ্যোক্তাদের ৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

উদ্যোক্তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘চাকরি চাই না, চাকরি দিতে চাই’।

মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের  ও ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন  যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান  এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইআরএফের নিজস্ব কার্যালয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইএফসির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড.মাশরুর রিয়াজ ও বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ হোসনা ফেরদৌস, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, সহজে ব্যবসা করার সূচকে উন্নতি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী করতে হবে, তবে সেটা পোশাককে বাদ দিয়ে নয়। পোশাকে আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছি। আরো উন্নতির সুযোগ আছে। পাশাপাশি অন্য খাতের রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, পোশাকের মতো সব রপ্তানি খাত সমান সুযোগ পাবে। অতীতে আমরা সেই সুযোগ দিতাম না। এবার সে সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এই শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব বলেন, আমাদের গার্মেন্টসের পণ্যের বহুমুখীকরণ হয়েছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস পণ্যের বাজারেরও বহুমুখীকরণ হয়েছে। আগে আমরা আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি করতাম, এখন বিশ্বের অনেক দেশে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে শিল্পের এক খাত থেকে যখন আমরা অন্য খাতে যাচ্ছি, তখনই আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিক সংকট না হলেও ম্যানেজারের সংকট হয়। সেই অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা বাইরে থেকে ম্যানেজার আনি। আশা করি, ভবিষ্যতে এ সংকট থাকবে না। তিনি জানান, আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন ইজ অব ডুইং বিজনেসের র‌্যাংকিং ঘোষণা করবে, আশা করছি বাংলাদেশের র‌্যাংকিং ডাবল ডিজিটে থাকবে। যদি আমাদের আশা পূর্ণ হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

Comments

Popular Posts