বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিকাল শিল্প
ফার্মাসিউটিকাল শিল্প বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রযুক্তিগত উন্নত সেক্টরগুলোর মধ্যে একটি। এটি গার্মেন্টস সেক্টরের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প যা বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সর্বোপরি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হল একমাত্র দেশ যেখানে মানস্মমত ঔষধ প্রযুক্তি রয়েছে যার মাধ্যমে দেশে বিপণন সম্ভাব্যতা এবং রপ্তানি হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পেশাদারদের দক্ষতা, জ্ঞান এবং এই শিল্পে জড়িত ব্যক্তিদের উদ্ভাবনী ধারনা এই উন্নয়নের মূল কারণ। এখন শুধুমাত্র ৩% ড্রাগ আমদানি করা হচ্ছে, অবশিষ্ট ৯৭% স্থানীয় কোম্পানিগুলো দেশেই তৈরী করছে। ফার্মাসিউটিকাল সেক্টরে ইতিবাচক উন্নয়ন বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাজারে ঔষধ রপ্তানি করতে সক্ষম করছে। অন্তর্নিহিত বাধা অতিক্রম করে এই সেক্টরটি আরো উন্নয়ন করছে এবং এটি বাংলাদেশের একটি কার্যকর রপ্তানিকারক ক্ষেত্র হতে পারে। বেক্সিমকো ফার্মা এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোম্পানিটি নিজের উৎপাদন সম্ভার বাড়িয়ে চলেছে এবং বিদেশে বিপুল পরিমানে রপ্তানী করছে।
বর্তমানে ১০টিরও বেশি বাংলাদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারে জেনেরিক ঔষধ রপ্তানি করছে। এদের মধ্য কিছু কিছু কোম্পানি ভারতীয় কিছু কোম্পানির প্রতিযোগী হিসাবে কাজ করে চলেছে ।বাংলাদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তাদের কারখানাগুলোর উন্নয়নে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইউরোপ থেকে সার্টিফিকেট অর্জনে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক বেক্সিমকো ফার্মা মালয়েশিয়ায় বায়োকেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং নামের কারখানা স্থাপনে কারিগরি সহায়তা দেবে যেখান আন্তর্জাতিক মানের ইনহেলার তৈরি হবে।
বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপোর্টের ইতিহাস ৮০এর দশকের শেষের দিকে শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার হাত ধরে। সেই সময়ে বাংলাদেশ থেকে মাত্র এক বা দুইটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানী ঔষধ রপ্তানী করার প্রয়াস চালায়। সরকারের সহযোগিতা ও উদ্দীপকতা সত্ত্বেও, তাদের নিজস্ব উদ্যোগে এই কোম্পানিগুলি মায়ানমার, শ্রীলংকা এবং নেপালের মতো প্রতিবেশী কম নিয়ন্ত্রিত বৈদেশিক বাজারগুলিতে তাদের পণ্য রপ্তানি করা শুরু করে। এই কম-নিয়ন্ত্রিত বাজারে সফল হওয়ার পর, এই দেশের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীগুলো ৯০ এর দশকে রাশিয়া, ইউক্রেন, জর্জিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মত আরো নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলিতে প্রবেশের উদ্যোগ নেয়। এইসব দেশে বাংলাদেশের পণ্যগুলি নিবন্ধন এবং বিপণন সফলতা বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিকাল শিল্পের জন্য একটি বড় সাফল্য।
আজ, বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিকাল শিল্প চারটি মহাদেশের প্রায় ৫২টি দেশে তার মানসম্মত পণ্য রপ্তানি করছে। যদিও এর পরিমাণটি খুব বিশাল বলে মনে নাও হতে পারে তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল এটি খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ, বাংলাদেশে সব ধরনের থেরাপিউটিক ক্লাস এবং ডোজ ফরম ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলো দ্রুত গতিতে বিস্তৃতি লাভ করছে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্রান্ডের ইনহেলার, সাপোপিটিসরিজ, নাসাল স্প্রে, ইনজেকশাল এবং ইনফিউশন ইত্যাদির মতো হাই-টেক বিশেষ পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
প্রায় সব দেশে পণ্যের গুণমান, প্যাকেজিং এবং উপস্থাপনার অত্যন্ত প্রশংসা করা হয়েছে। ১লা জানুয়ারী, ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের জন্য বিশাল রপ্তানি সুযোগ খোলা হয়েছে। ডব্লিউটিও ও টিআরপি এর স্বাক্ষরকারী হিসাবে চীন ও ভারতের মত দেশে ইতোমধ্যে পেটেন্ট আইন' প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এই দেশগুলি তাদের দেশে পেটেন্ট ওষুধ রপ্তানি করার অনুমতি দিচ্ছে না। বিপরীতভাবে, পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশের জন্য শিথিল করা হয়েছে এলডিসি সদস্য হওয়ায়।ইতোমধ্যে ২০১১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত পেটেন্ট আইন অনুযায়ী মওকুফ পেয়েছে, যা দেশটির ফার্মাসিউটিকাল সেক্টরের জন্য 'এক্সট্রিম এক্সপোর্ট অরপোরেশনস'-এর দরজা খুলে দিচ্ছে।এটা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই যে, রপ্তানী মূল্য স্থানীয় মূল্যের তুলনায় অনেক বেশি হলে ফার্মাসিউটিকাল রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ মানসম্মত মূল্য সংযোজন নিশ্চিত করতে পারবে যার ফলে বাংলাদেশ ঔষধ রপ্তানিতে আরো এগিয়ে যাবে।
পেশাদারদের দক্ষতা, জ্ঞান এবং এই শিল্পে জড়িত ব্যক্তিদের উদ্ভাবনী ধারনা এই উন্নয়নের মূল কারণ। এখন শুধুমাত্র ৩% ড্রাগ আমদানি করা হচ্ছে, অবশিষ্ট ৯৭% স্থানীয় কোম্পানিগুলো দেশেই তৈরী করছে। ফার্মাসিউটিকাল সেক্টরে ইতিবাচক উন্নয়ন বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাজারে ঔষধ রপ্তানি করতে সক্ষম করছে। অন্তর্নিহিত বাধা অতিক্রম করে এই সেক্টরটি আরো উন্নয়ন করছে এবং এটি বাংলাদেশের একটি কার্যকর রপ্তানিকারক ক্ষেত্র হতে পারে। বেক্সিমকো ফার্মা এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোম্পানিটি নিজের উৎপাদন সম্ভার বাড়িয়ে চলেছে এবং বিদেশে বিপুল পরিমানে রপ্তানী করছে।
বর্তমানে ১০টিরও বেশি বাংলাদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারে জেনেরিক ঔষধ রপ্তানি করছে। এদের মধ্য কিছু কিছু কোম্পানি ভারতীয় কিছু কোম্পানির প্রতিযোগী হিসাবে কাজ করে চলেছে ।বাংলাদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তাদের কারখানাগুলোর উন্নয়নে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইউরোপ থেকে সার্টিফিকেট অর্জনে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক বেক্সিমকো ফার্মা মালয়েশিয়ায় বায়োকেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং নামের কারখানা স্থাপনে কারিগরি সহায়তা দেবে যেখান আন্তর্জাতিক মানের ইনহেলার তৈরি হবে।
বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপোর্টের ইতিহাস ৮০এর দশকের শেষের দিকে শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার হাত ধরে। সেই সময়ে বাংলাদেশ থেকে মাত্র এক বা দুইটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানী ঔষধ রপ্তানী করার প্রয়াস চালায়। সরকারের সহযোগিতা ও উদ্দীপকতা সত্ত্বেও, তাদের নিজস্ব উদ্যোগে এই কোম্পানিগুলি মায়ানমার, শ্রীলংকা এবং নেপালের মতো প্রতিবেশী কম নিয়ন্ত্রিত বৈদেশিক বাজারগুলিতে তাদের পণ্য রপ্তানি করা শুরু করে। এই কম-নিয়ন্ত্রিত বাজারে সফল হওয়ার পর, এই দেশের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীগুলো ৯০ এর দশকে রাশিয়া, ইউক্রেন, জর্জিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মত আরো নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলিতে প্রবেশের উদ্যোগ নেয়। এইসব দেশে বাংলাদেশের পণ্যগুলি নিবন্ধন এবং বিপণন সফলতা বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিকাল শিল্পের জন্য একটি বড় সাফল্য।
আজ, বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিকাল শিল্প চারটি মহাদেশের প্রায় ৫২টি দেশে তার মানসম্মত পণ্য রপ্তানি করছে। যদিও এর পরিমাণটি খুব বিশাল বলে মনে নাও হতে পারে তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল এটি খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ, বাংলাদেশে সব ধরনের থেরাপিউটিক ক্লাস এবং ডোজ ফরম ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলো দ্রুত গতিতে বিস্তৃতি লাভ করছে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্রান্ডের ইনহেলার, সাপোপিটিসরিজ, নাসাল স্প্রে, ইনজেকশাল এবং ইনফিউশন ইত্যাদির মতো হাই-টেক বিশেষ পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
প্রায় সব দেশে পণ্যের গুণমান, প্যাকেজিং এবং উপস্থাপনার অত্যন্ত প্রশংসা করা হয়েছে। ১লা জানুয়ারী, ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের জন্য বিশাল রপ্তানি সুযোগ খোলা হয়েছে। ডব্লিউটিও ও টিআরপি এর স্বাক্ষরকারী হিসাবে চীন ও ভারতের মত দেশে ইতোমধ্যে পেটেন্ট আইন' প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এই দেশগুলি তাদের দেশে পেটেন্ট ওষুধ রপ্তানি করার অনুমতি দিচ্ছে না। বিপরীতভাবে, পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশের জন্য শিথিল করা হয়েছে এলডিসি সদস্য হওয়ায়।ইতোমধ্যে ২০১১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত পেটেন্ট আইন অনুযায়ী মওকুফ পেয়েছে, যা দেশটির ফার্মাসিউটিকাল সেক্টরের জন্য 'এক্সট্রিম এক্সপোর্ট অরপোরেশনস'-এর দরজা খুলে দিচ্ছে।এটা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই যে, রপ্তানী মূল্য স্থানীয় মূল্যের তুলনায় অনেক বেশি হলে ফার্মাসিউটিকাল রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ মানসম্মত মূল্য সংযোজন নিশ্চিত করতে পারবে যার ফলে বাংলাদেশ ঔষধ রপ্তানিতে আরো এগিয়ে যাবে।
Comments
Post a Comment